আসলে আজকাল কাজে-কর্মে এত ব্যস্ত হয়ে গেছি যে শরীরের কথা শোনার সময়ই নেই আমাদের হাতে। ঠোঁট, শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা দিয়ে আমরা কথা বলি, খাবার খাই, এমনকি মাঝে মাঝে অনেক দুষ্টুমিও করে থাকি। কিন্তু এগুলি ছাড়াও আমাদের লিপস বা ঠোঁটের এমন কিছু গুণ আছে যা বাকি প্রাণীদের ঠোঁটে নেই। তাহলে দেরি কেন! জেনে নিন ঠোঁট নিয়ে নানান আজানা কথা। তথ্য ১: আমাদের শরীরে সবথেকে স্পর্শকাতর অঙ্গ হল ঠোঁট। একাধিক রিপোর্ট অনুসারে, শরীরের এই অংশে কম করে লক্ষাধিক নার্ভ আছে। কিন্তু এই নার্ভগুলিকে রক্ষা করার জন্য় নেই কোনো মেমব্রেন। তাহলে একবার ভাবুন, শরীরের সবথেকে নরম জায়গা, কিন্তু তাকে রক্ষা করার কেউ নেই। কী দুঃখের বিষয় না! তথ্য ২: শরীরের সব অঙ্গ ঘামে, কিন্তু ঠোঁট কখনও ঘামে না। কেন জানেন? কারণ শরীরের এই অংশে ঘামের গ্রন্থি নেই। তাই তো ঠোঁট খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তথ্য ৩: একজনের ফিঙ্গার প্রিন্টের সঙ্গে যেমন আরেক জনের ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলে না, তেমনি আমাদের সবার ঠোঁট কিন্তু আলাদা আলাদা হয়। তাই যদি ভাবেন আপনার ঠোঁটের সঙ্গে আপনার কোনো বন্ধুর ঠোঁটের খুব মিল আছে, তাহলে ভুল ভাবছেন। তথ্য ৪: ঠোঁট হল শরীরের একমাত্র অঙ্গ, যার বাইরেটা যেমন, ভেতরটাও তেমন। তথ্য ৫: আপনাদের কি জানা আছে, বয়স যত বাড়তে থাকে, তত আমাদের ঠোঁট মোটা হতে শুরু করে। আসলে বয়স বাড়তে থাকলে আমাদের শরীরে কোলেজেনের উৎপাদন কমে যেতে শুরু করে। ফলে ঠোঁট তার সৌন্দর্য হারাতে শুরু করে। তথ্য ৬: আপনি কাউকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে কত নম্বর পেতে পারেন, তা কিন্তু আপনার ঠোঁট দেখে বলে দেওয়া সম্ভব। একাধিক স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়েছে যে কোনো মেয়ের ঠোঁট দেখে বুঝে যাওয়া সম্ভব সে কাউকে ভালোবাসতে কতটা পারদর্শী। শুনতে আবাক লাগলেও একথা কিন্তু ১০০ শাতংশ ঠিক। তথ্য ৭: শরীরের বাকি অঙ্গের মতো ঠোঁটও কিন্তু পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। একে "বেলস পালসি" বলা হয়। প্রসঙ্গত, ফেসিয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্থ হলে এমন ধরনের পেরালাইসিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।