বিশেষ সংবাদদাতা-কিশোর গ্যাং আতংকে দিশেহারা ও অতিষ্ট হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্তঞ্চলের সাধারন মানুষ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনায় এবং চিহ্নিত একই জায়গায় বারবার ঘটনাগুলির পুনারাবৃত্তি ঘটনায় এই আতংক এখন উদ্ব্যেগ জনক হারে বাড়ছে। কোন কারণ ছাড়াই সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী পেট্টোল পাম্পের সামনে তিন এসএসি পরীক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়ে এবং তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যরা।
এ ঘটনা আজিজুল হাকিম ইকরাম, মো. সাফায়েত ও শাহরিয়ার মজিদ অভি সহ তিনজন আহত হয়। তারা পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা ও লক্ষ্মীপুর পৌর শহীদ স্মৃতি একাডেমির এসএসসি পরীক্ষার্থী বলে জানা গেছে। রাত ৯ টার দিকে আহত সাফায়েতের মা ফারজানা আক্তার লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন মো. প্রহর, মো. রাফি, সামি মুনতাসিম, মো. অন্তর, কারজু, অর্পন ও অজ্ঞাত ১২ জন। তারা পৌরসভার বাঞ্চানগরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় ঘটনার সময় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে ইকরাম, সাফায়েত ও অভি ক্যালকুলেটর কেনার জন্য ঘটনাস্থল আসে। এতে রিকশা থেকে নামার পরই হামলাকারীদের কেউ একজন তাদেরকে ডাক দেয়। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই অভিযুক্তরা তাদের ওপর হামলা শুরু করে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের মাথা, পা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলারীরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত মো. সাফায়েত বলেন, হামলাকারীদের কাউকে আমরা ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। ঘটনাস্থল এসে রিকশা থেকে নামার পরে তাদের একজন আমাদের ডাক দেয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জিআই পাইপ দিয়ে আমাদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে।
অভিযোগকারী ফারজানা আক্তার বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার ছেলে ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি স্থানীয় ভাবে তারা কিশোর গ্যাং তৈরি করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তাই তিনি এ হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানান। অভিযোগ করয়েছে, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাগবাড়ি, টিএন্ডটি, শহীদ স্মৃতি একাডেমী, ঝুমর, হ্যাপী হল রোড, উত্তর তেমুহনী নিউ মার্কেট, পেট্রোল পাম্প, শাখারী পাড়া, দক্ষিন তেমুহনী, মিয়ার রাস্তার মাথা, ইটের পোল, কলেজ রোড, ফায়ার সার্ভিস, দালাল বাজার সহ বেশ কয়েকটি স্পটে কিশোরগ্যাং সদস্যদের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। এতে সাধারন মানুষের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।