সাঈদ হাসান মারুফ,নিজস্ব তিনিধি-লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের আহত হয়েছে ২০ জন। সদর পুর্বাঞ্চলীয় চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সাবেক এমপি, জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর জেলা শহরের বশির ভিলায় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিধি সভা শেষে ফিরার পথে বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন বাচ্চু ও আবুল কালাম আজাদ প্রকাশ কালামুন্সী গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাত ও রবিবার সকালে আলাদাভাবে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে ঘিরে উভয় গ্রপের নেতাকর্মীদের মধ্যে দিনভর চরম উত্তেজনা চলছে।
বিএনপির নেতারা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির অভ্যান্তরীন কোন্দলে জর্জরিত। দলের মধ্যে বিরোধ নিস্পত্তি এবং সামনে চন্দ্রগঞ্জের থানা বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলা নেতারা পুর্ব নির্ধারিত সময়সুচি অনুযায়ী শনিবার রাতে বশির ভিলায় প্রতিনিধি সভার আয়োজন করে। কিন্তু সভাপতি প্রার্থী হিসাবে বাচ্চুর পক্ষে এবং সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হিসাবে কালামুন্সীর পক্ষে-বিপক্ষে স্ব স্ব অনুসারীরা উস্কানী মুলক স্লোগান দেয়। সভা শেষে একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা গন্তব্যে ফিরার পথে রাতে এ নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর নাসির বাহিনীর সুলতান ফারুক ও কাউসারের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায়।
এরই জের ধরে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনীস্থ স্টেশন, ঝুমুর এবং সকালে চন্দ্রগঞ্জের সমতা সিনেমার হলের সামনে বাচ্ছু ও কালামুন্সী গ্রপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক ইয়াকুব মুন্না রিপন, মাহমুদুল হাসান রনি, ছাত্রদল নেতা নোমান, আশিকুর রহমান,রোমন, শরীফ, সাগর, ছোট জনি, সুমন, রাকিব,খলিল সহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে ইয়াকুব মুন্না রিপন, মাহমুদুল হাসান রনি,নোমান, আশিকুর রহমান সহ কয়েকজনকে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
উল্লেখ্য, গত প্রায় ৮ বছর যাবত সন্মেলন না হওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ন কমিটি দিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দলটির চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম। আগ থেকেই দলের পদ-পদবী ও কতৃত্ব নিয়ে আইন শৃংখলাবাহিনীর হাতে নিহত জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী নাসির ও জিসান গ্রুপের মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছিল। চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক স্থানীয় চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্ছু নাসিরের পক্ষে ও জিসানের অনুসারী হিসাবে কালামুন্সী কাজ করায় তারা একে অপরের ঘোর বিরোধী। চন্দ্রগঞ্জ বাজারের নেতৃত্ব,র্কতৃত্ব এবং চাঁদাবাজি নিয়ে এ দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই সময় হানাহানি ঘটে থাকে। ফলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশিভুত হয়ে এ ঘটনা ঘটছে বলে নেতারা জানায়।