নিজস্ব প্রতিনিধি-লক্ষ্মীপুরের নতুন করে নুর আলম বেচু বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। তার আতংকে দিশেহারা প্রায় সকলেই। নারী কেলেঙ্কারি, জবর দখল, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমুলক কর্মকাণ্ডে এখন আলোচনায় রয়েছে বেচু ও তার বাহিনী। সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ত্রাস হিসেবে খ্যাত এ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা রয়েছে এখন ৬০-৭০ জন। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে একাধিক ভুক্তভোগী এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দীর্ঘ দিন থেকে স্থানীয় নবী তাহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গফুরের ছেলে নুর আলম বেচু নিজেকে বাহিনী প্রধান পরিচয় দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি নারী কেলেঙ্কারি, জমি জবর দখল, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাধারণ মানুষদের হয়রানি ও চাঁদাবাজি, অশালীন আচরণসহ নানা অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। তার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী।
তার ভয়ে স্থানীয় শফি কাজী ও তার পরিবার, সখিনা বেগম, আব্দুর রব ড্রাইভারের পরিবারসহ অসংখ্য মানুষ এলাকাছাড়া হয়েছে, অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ২০০১ সালে বেচু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সুস্থ হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। সোমবার দিবাগত রাতে বিবি কুলসুম ও তার যুবতী কন্যার উপর নির্যাতন (মারধর) চালায় বেচু ও তার বাহিনীর সদস্যরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
সম্প্রতি তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সে গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে উল্টো অপপ্রচার চালায় বলে জানান তারা। এমন পরিস্থিতিতে তার বিচারের দাবি জানিয়েছে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হাজির পাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, ভুক্তভোগী চন্দ্রগঞ্জ থানা সেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক সালাহ উদ্দিন টিটু, ইউপি সদস্য মিঠু, কাজী আনোয়ার হোসেন, বণিক সমিতির সম্পাদক মো. ইসরাফিল, বিবি কুলসুম প্রমুখ।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নুর আলম বেচু বলেন, তার কোন বাহিনী নেই, পরিকল্পিতভাবে সুবিধাভোগীরা তাকে এলাকা ছাড়া করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন বেচু।