বিশেষ সংবাদদাতা-লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাটে বালু বাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি করার সময় হাতেনাতে ধরে জামাল হোসেন (৪১) নামের একজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রশাসনিক অভিযান টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জামালের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। জামাল সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের মৃত হোসেন আহম্মদ চৌধুরীর ছেলে। এর আগে পৌর এলাকায় এবং তার নিকটবর্তীস্থানে টোল আদায়ের নামে সিএনজি সহ বিভিন্ন পরিবহনে একই কায়দায় চাঁদাবাজি করার সময় জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের নজরে অাসে।
এতে তাৎক্ষনিক অভিযানে বেশ কয়েকজনকে আটক সহ তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র সহ রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের থাবায়, শেল্টারে থামেনি তাদের চাঁদাবাজি। বরং গরীব ও সাধারন মানুষের রক্তচোষা পকেটবভারী করা চাঁদাবাজচক্র বেপরোয়া হয়ে উঠে। ফলে জেলা প্রশাসক ও নবাগত পুলিশ সুপারের শক্ত অবস্থান ও ইতিমধ্যে অভিযানে চটস্থ হয়ে পড়েছে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার রাত ৮ টার দিকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অমিত রায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে পরিবহনে চাঁদাবাজি সময় জামাল হোসেনকে হাতেনাতে ধরে। এ সময় সে দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।