সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই দোকানঘর ও নগদ টাকা সহযোগীতা করলেন পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম
গাইবান্ধা সদর উপজেলার নশরতপুর গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন শিকলবন্দী সেই সেলিম মিয়াকে (২৫) কে উপহার হিসেবে একটি দোকানঘর ও কিছু নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। গতকাল ১ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এ উপহার দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান, গাইবান্ধা ট্রাফিক পুলিশের (প্রশাসন) পরিদর্শক নূর আলম সিদ্দিক, ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক গৌতম আশিস গুহ, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, বিপ্লব ইসলাম ও কায়সার প্লাবন।
২০২০ সালের ৮ জুন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারেন, সেলিম মিয়া একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তাঁকে সব সময় বাড়িতে শিকলবন্দী করে রাখা হয়। অর্থাভাবে তাঁর উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছিল না পরিবার। পুলিশ সুপার একই সালের ১৪ জুন সেলিমকে পাবনায় মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সেখানে চার মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পর সেলিম কর্মহীন হয়ে পড়েন। সেলিম যাতে ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন, সে জন্য পুলিশ সুপারের উদ্যোগে তাঁকে মালামালসহ দোকানঘর ও নগদ টাকা উপহার দেওয়া হয়। দোকানের নাম দেওয়া হয় সদাইপাতি। বুধবার ফিতা কেটে এ দোকানের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার। মালামালসহ নতুন দোকান পেয়ে সেলিম মিয়া বলেন, পুলিশ সুপারের কাছে আমি চিরঋণী। চিকিৎসার জন্য পুলিশ সুপার আমাকে পাবনা পাঠিয়েছিলেন। এখন আমি সুস্থ হয়েছি। অনেক টাকা খরচ করে মালামালসহ আমাকে দোকান ঘর করে দিয়েছেন। পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই।
পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই তাঁকে এ সহযোগিতা করা হয়েছে।