মানবসেবায় নিয়োজিত রাখতে পিতার ফার্মেসিতে বসে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন মানসুবা আক্তার মিতু

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২:০৩ পূর্বাহ্ন, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২:০৩ পূর্বাহ্ন, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

গাইবান্ধা'র পলাশবাড়ী উপজেলার প্রত্যান্ত পল্লী অঞ্চলে  মানবসেবায় সর্বোপরি নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পিতার ফার্মেসির দোকানে বসে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন মোছা. মানসুবা আক্তার মিতু নামে এক নারী গাইনী চিকিৎসক। 

সরেজমিন উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরে ৫নং মহদীপুর ইউনিয়নের ফুটানিবাজারে অবস্থিত মিতু ফার্মেসিতে সন্ধ্যার পর গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ, শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের চিকিৎসা, ঔষধ সহ সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন মো. মানসুবা আক্তার মিতু। তিনি প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত নিয়মিত সাধারণ মানুষকে নিঃস্বার্থ ভাবে সেবা দিয়ে আসছেন।  

আর তাকে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করছেন তার পিতা মো. আব্দুল মান্নান মন্ডল। অত্যান্ত নম্র-ভদ্র, বিনয়ী মানসুবা আক্তার মিতু নিজ এলাকাসহ সবার নিকট মানবতার সেবক হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি ডি এম এফ (ঢাকা), এফটি সদর হাসপাতাল গাইবান্ধা, মা ও শিশু মেডিসিন, গাইনী ও সার্জারি বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ মাস ইন্টার্নী হিসেবে দায়িত্ব পালণ করেন। বর্তমানে তিনি চাকুরীর অপেক্ষায় রয়েছেন।

এলাকাবাসী ও সচেতনমহল দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকাকে বলেন, অনেক সময় গর্ভবতী মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণ এ সমস্যা গুলোর চিকিৎসার জন্য শহরে নিয়ে যেতে হয়। বর্তমানে আমরা ছোটখাটো গাইনী সমস্যার সমাধান গুলো নিয়মিত গ্রহন করতে পারছি। সে আমাদের এলাকা তথা দেশের গর্ব।মানবসেবায় সব-সময় কাজ করবেন এই প্রত্যাশা করি।

গাইনী চিকিৎসক মানসুবা আক্তার মিতু দৈনিক আলোকিত সকাল ও সাপ্তাহিক খোলাহাওয়া পত্রিকার এ প্রতিবেদককে বলেন, মানবসেবায় সবসময় নিজেকে উৎসর্গ রাখতে চাই। একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তা যেন অক্ষরে অক্ষরে পালণ করতে পারি সে জন্য তিনি সবার দোয়া কামনা করেন।

গাইবান্ধা সদর তুলশীঘাট রেবেকা হাবিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির গাইবান্ধা সদর উপজেলার সভাপতি ও পলাশবাড়ী উপজেলার ৬নং বেতকাপা ইউপি'র পূর্ব-নয়ানপুর গ্রামের মো. আব্দুল মান্নান মন্ডলের ২ মেয়ে ও ১ ছেলের মধ্যে সবার বড় মানসুবা আক্তার মিতু।