লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় রাকাবে'র কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ

এ,এল,কে খান জিবু,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
এ,এল,কে খান জিবু,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি এ,এল,কে খান জিবু,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:৩৭ অপরাহ্ন, ০৭ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, ১৯ মে ২০২৪

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার প্রায় ৪০ জন গ্রাহকের ঋণের কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।এ ঘটনার পর থেকে প্রায় ১ মাস ধরে ব্যাংকে আসছেন না ওই মাট কর্মকর্তা। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ঋণ গ্রহীতারা বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাননি। অভিযুক্ত আজিজুর রহমান রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার সিনিয়র অফিসার (মাঠ) হিসাবে দায়ীত্বে রয়েছেন । জানা গেছে, প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাহকের ঋণের টাকা আত্মসাত করেন ব্যাংক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান।গ্রাহকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে অল্প কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকে একটি নির্দিষ্ট সময় বেধে দেয়া হয় সমস্যা সমাধানের জন্য। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত না পেয়ে গ্রাহকরা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক বরাবর লিখিত একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর থেকে প্রায় এক মাস ধরে ব্যাংকে আসছেন না ওই কর্মকর্তা।এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আজিজুর ইসলামকে বার বার অফিসে আসার নোটিশ দিলেও তিনি অফিস করছেন না বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক গ্রাহক সেলিম উদ্দিন সুমন বলেন, আমার নামে দুই লক্ষ টাকা ঋণ পাশ হয়। কিন্তু ওই ব্যাংক অফিসার মাত্র ৫০ হাজার টাকা আমাকে দেয়। বাকি টাকা কিছুদিন পরে দিবেন বলে সময় নেয়। কিন্তু তিনি একের পর এক সময় নিয়েও টাকা আজ পর্যন্ত পরিশোধ করেনি। গ্রাহক আরও জানান, এঘটনার পর থেকে ওই কর্মকর্তা আর ব্যাংকে আসছেন না। প্রতিদিন ব্যাংকে তাকে না পেয়ে ফিরত আসছি। তাই ব্যাংক ব্যবস্থাপক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আমার মত আরোও অনেকেই ওই কর্মকর্তার প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই লিখিত অভিযোগ করেছেন। এরপরেও এই ব্যাপারে কোন সুফল পাচ্ছি না।অপর এক ভুক্তভোগী গ্রাহক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার নামে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ পাশ হয়। আমাকে মাত্র ৮০ হাজার টাকা দিয়েছেন। আরেক ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার নামে ৪ লক্ষ টাকা ঋণ পাশ হয়। আর আমাকে মাত্র ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দেয়। এখনো ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা আজিজুরের কাছে পাবো আমি। ব্যাংকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার সিনিয়র অফিসার (মাঠ) আজিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রায় ৪০ জন গ্রাহক আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রায় ১ মাস ধরে ব্যাংকে আসছেন না। তাকে বার বার অফিসে আসার নোটিশ দেয়ার পরেও তিনি অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন।এ বিষয়ে রাকাবে'র লালমনিরহাট জোনাল ম্যানেজার মাহিদুল ইসলাম বলেন, আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। তিনি অফিস করছেন না এবং আমাদের সাথে যোগাযোগও করছেন না। আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।