দীঘিনালা ও মহালছড়ির ৭ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী যারা

আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ন, ২৯ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, ১৯ মে ২০২৪

খাগড়াছড়ি  পার্বত্য জেলার দীঘিনালা ও মহালছড়ি ২উপজেলার ৭ইউনিয়নে ৩য় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বেসরকারিভাবে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবার(২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে দীঘিনালা উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নের ৩৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকাল ৪টায়। 

রাত ৯টায় বেসরকারিভাবে প্রাথমিক ফলাফলে বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ৮১৪৫ভোট পেয়ে আনারস প্রতীকে চয়ন বিকাশ চাকমা নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রার্থী মো: মোস্তফা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯০৭ভোট। মেরুং ইউনিয়নের ১৩টি কেন্দ্র থেকে নৌকা প্রতীকে মাহমুদা বেগম লাকী ১০৪৭৪ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেমাব্রত চাকমা ৭৯০৭ভোট পেয়েছেন এবং ২টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। 

কবাখালী ইউনিয়নের ৭টি কেন্দ্রে ৫৪৯২ভোট পেয়ে আনারস প্রতীকে নলেজ চাকমা নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল বারেক(নৌকা) প্রতীকে পেয়েছেন ২৮৫৬ভোট।

মেরুং ইউনিয়নে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ মাইন উদ্দিন জানান, ১২টার দিকে মেম্বার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ঘটনা ঘটে, এতে ২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়। 

অপরদিকে, মহালছড়ি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ২প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ও ১প্রার্থী স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

মাইসছড়ি ইউনিয়নে একটি কেন্দ্র স্থগিত থাকায় সে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়নি। 

তবে ৪ইউনিয়নের মধ্য থেকে ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নে সরকার দলীয় মনোনীত প্রার্থী রুপেন্দু দেওয়ান বিনা ভোটে আগেই নির্বাচিত হয়েছেন।

অপর ৩ইউনিয়নে ৭জন প্রার্থীর মধ্যে মহালছড়ি সদর ইউনিয়নে সরকার দলীয় প্রার্থী রতন কুমার শীল ৭৩৪৫ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে লাব্রেচাই মারমা পেয়েছেন ১৩৮৬ভোট। 

মুবাছড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে বাপ্পী খীসা পেয়েছেন, ৩৯৫২ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার দলীয় প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন, ৮৫৬ভোট।

মাইসছড়ি ইউনিয়নে ব্যাপক জাল ভোট প্রদানের সত্যতা পাওয়ায় প্রিজাইডিং অফিসার কিউট চাকমা একটি কেন্দ্র স্থগিত ঘোষণা করেছেন। তবে অবশিষ্ট ৮টি ভোটকেন্দ্রের পাওয়া তথ্যমতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজাই মারমা এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন, ৩৩২১ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার দলীয় প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন লিডার পেয়েছেন, ২১২২ভোট। 

মাইসছড়ি ইউনিয়নে যে কেন্দ্র স্থগিত রয়েছে সেই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৩০৫ভোট। 

মহালছড়ি রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, মাইসছড়ি ইউনিয়নে যেহেতু একটি কেন্দ্র স্থগিত রয়েছে তাই আপাতত সে ইউনিয়নটি ঘোষণা নাও হতে পারে। পরবর্তীতে সেটা জানানো হবে।