লক্ষ্মীপুরে পাওনা দাবী করায় আইনজীবি সমিতির শৌচাগারে ভুক্তভোগী আধঘন্টা অবরুদ্ধ, হামলা ও মারধরের শিকার

বিশেষ প্রতিনিধি-
বিশেষ প্রতিনিধি- বিশেষ প্রতিনিধি-
প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ন, ২৬ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ৫:১২ পূর্বাহ্ন, ১৯ মে ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের ফয়সাল নামের এক ভুক্তভোগীকে আইনজীবি সমিতির শৌচাগারে প্রায় আধঘন্টা আটকে রাখা সহ তাকে বেদড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।   সোমবার (২৫মার্চ) সকালের দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবি আবদুস সামাদ আজাদ হিরণের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
 
ভুক্তভোগীর দাবী, বড় বোনের দেনমোহরের পাওনা টাকা চাওয়ায় কালো গাউন পরিহিত ও কোর্ট পরিহিত দুইজনেই ফয়সাল নামের ওই যুবককে টেনেহেঁচড়ে মারধর করতে করতে নিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণেই প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বোন শিমু আক্তার জেলা আইনজীবি সমিতির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এতে আদালতে হাজিরা দিতে আসা বিচার প্রার্থী বাদী-বিবাদী সহ সাধারন মানুষের মাঝে যেমন এক ধরণের আতংক দেখা দেয়,তেমনি ঘটনায় আদালত ও আইনজীবি সমিতি সহ সংশ্লিষ্টদের চরম ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে দাবী স্থানীয়দের। অভিজ্ঞমহলের দাবী, এমন ঘটনা নতুন নয়, বারবার এমন ঘটনায় প্রতিবাদ ও প্রতিকার না হওয়ায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির সন্মুখিন হচ্ছে বলে জানান অনেকেই। 

শিমু আক্তার ও ফয়সাল হোসেন জানান, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া স্বামী রিয়াদের সঙ্গে শিমুর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।  এতে কয়েকদফা বৈঠক শেষে বাদীকে দেনমোহর বাবদ দিতে ২ লাখ বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই পক্ষের আইনজীবির সমন্বয়ে সুরাহা হয় বলে জানান তারা। এক পর্যায়ে  বাদির আইনজীবি আবদুস সামাদ আজাদ হিরণ কয়েক ধাপে দেনমোহরের ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিলেও বাকি ৬০ হাজার টাকা দিতে নানাভাবে গড়িমসি শুরু করেন। পরে ফয়সালের পাওনা আদায়ে নানামুখি বিড়ম্ভনার মুখেশেষ পর্যন্ত আইনজীবি হিরণ মোবাইল ফোন বন্ধ ও বাদির ব্যবহৃত নাম্বার ব্লক করে দেন বলে জানান তারা।

সর্বশেষ সোমবার আবারো ওই বাকী টাকা চাইতে গেলে বিরক্ত আইনজীবি হিরণ ও তার কয়েকজন সহকর্মী সমিতির সামনেই ফয়সলকে পেয়েই জামার কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে মারধরের পর আইনজীবি সমিতির শৌচাগারে প্রায় আধা ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে আদালতের আরেক আইনজীবি ফিরোজ আলম ওই যুবককে উদ্ধার করে।

এদিকে শিমু’র স্বামী রিয়াদ জানান, বাদিকে দিতে তিনি কয়েক ধাপে ২ লাখ বিশ হাজার টাকা আইনজীবির কাছে দিয়েছেন। পরে বাদির উকিলকে দেয়ার জন্য আরো পাঁচ হাজার টাকাও দেন তিনি।

তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে আবদুস সামাদ আজাদ হিরণের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। 

এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট রহমত উল্ল্যাহ বিপ্লব জানায়, এ বিষয়ে সমিতিতে কেউ অভিযোগ দিয়েছে কিনা তার জানা নেই।   ঘটনার বিষয়েও তিনি অবহিত নন।