করোনা দ্বিতীয় ধাপে রংপুর বিভাগে অসহায় সদস্যদের বিকাশের মাধ্যমে সঞ্চয় ফেরত দিচ্ছে ব্র্যাক
করোনা ভাইরাস দ্বিতীয় ওয়েভে মহামারির কারনে মানুষের জীবনযাত্রা অনেক কষ্টকর হয়েছে। মানুষের উপার্জন অনেক কমেছে এবং অনেকেই বেকারত্ব জীবনযাপন করছেন। ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স-দাবি কর্মসূচির ডিভিশনাল ম্যানেজার ডিএম আফজাল হোসেন বলেন, যে সকল সদস্যের সংসার পরিচালনা করা কষ্ট হচ্ছে তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য লক ডাউনের কারনে সকল ব্র্যাক অফিস বন্ধ থাকলেও বিকাশের মাধ্যমে সঞ্চয় ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত রংপুর ডিভিশনে ১২৪১ জন সদস্যকে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২৮ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা সঞ্চয় ফেরত দেওয়া হয়েছে। অভাবের সময় কিছু সঞ্চয় হাতে পাওয়ায় সদস্যরা ব্র্যাকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া মানুষকে ঘরে থাকতে বললেও কাজের জন্য বা কেনাকাটার বা কোরবানির হাটের জন্য ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে নিয়মিত। ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক হলেও জনগন তা মানছেনা।
ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক একেএম জাহেদুল ইসলাম বলেন, ”মাস্ক পরার অভ্যেস, করোনামুক্ত বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্র্যাক স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির অধিনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূর্গ প্রকল্পের উদ্যোগে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট জেলার ১২২টি গরু ছাগলের হাটে উপদেশ সম্মিলিত লীফলেট বিতরন, ব্যানার লাগানো ও মাইকিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই তিন জেলাতে ১১ লক্ষ ৩৮ হাজার মাস্ক বিতরন করা হচ্ছে।
হটস্পট মবিলাইজার ও কমিউনিটি মবিলাইজার ও স্বাস্থ্য সেবিকারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা শেখানো ও সম্ভাব্য রোগী চিহ্নিত করে টেলি মেডিসিন সেবা প্রদান করছেন।
রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় ব্র্যাকের ইউপিজিপি, এইচএনপিপি, আইডিপি ও ইউডিপির উদ্যোগে কর্মহীন ১৩১৩৪ পরিবারকে বিকাশের মাধ্যমে ১৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ১ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
দেশের উন্নয়নে সরকারের সহযোগি হিসাবে দরিদ্র মানুষের পাশে ব্র্যাক আছে এবং সবসময় মানুষের পাশে থাকবে।