মাটিরাঙ্গার তবলছড়িতে ২৩পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে সন্তুষ্ট, একটি মহল চক্রান্তে লিপ্ত

আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ন, ০১ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ৫:৫০ পূর্বাহ্ন, ১৯ মে ২০২৪

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ২নং তবলছড়ি ইউনিয়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে পাহাড়ি-বাঙালী ২৩পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ঘর পেয়ে সন্তুষ্ট, একটি মহল চক্রান্তে লিপ্ত।

শনিবার(৩১ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ২নং তবলছড়ি ইউনিয়নে ২৩টি অসহায় হত-দরিদ্র গৃহহীন ও ভূমিহীন পাহাড়ি-বাঙালী পরিবার পেয়েছে তাদের স্বপ্নের ঠিকানা। ২৩টি ঘরের অধিকাংশের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় পাহাড়ি-বাঙালি সুবিধা ভোগীরা ঘরগুলেতে পরম সুখে বসবাস করছে। এরমধ্যে কয়েকটি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। 

বিশেষ করে ১নং ওয়ার্ডের দূর্গম তালুকদার পাড়ায় সুজন চাকমার নির্মাণাধীন ঘরটি প্রায় অর্ধ কিলোমিটার পিচ্ছিল কাদা-পানির ধানী জমি পাড়ি দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়াই যেন একটা চ্যালেঞ্জ। সেখানে এ বর্ষা মৌসুমে ঘরের নির্মাণ সামগ্রী পৌঁছানো রীতিমত দূষ্কর হলেও অনেকেই এ ঘরটিকে পূঁজি করে নির্মাণ কাজে অনিয়ম দেখিয়ে দূর্ণীতি করা হয়েছে মর্মে মিথ্যে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের। 

দূর্গম তালুকদার পাড়ার সুজন চাকমার ঘরটি শনিবার বিকেলে একদল সংবাদকর্মী সরেজমিনে অতি কষ্টে পরিদর্শনে গেলে সুজন চাকমা বলেন,আমাদের গ্রামে চলাচলের একমাত্র পায়ে হাঁটা কাদা-পানিতে তলিয়ে পিচ্ছিল হওয়া রাস্তাটি দিয়ে বর্তমানে  সিমেন্ট-বালু বহন করে আনা সম্ভবপর না হওয়ায় কাজ কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। এসত্বেও যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন করে ঘরটি বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন। আমি অসহায় হিসেবে বিনা পয়সায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরটি পেয়ে খুবই সন্তুষ্ট। 

এ ইউনিয়নের উপকারভোগী মংজাই কার্বারী পাড়ার অংকাইও মারমা, চন্দ্রমোহন ত্রিপুরা, মাস্টার পাড়ার কালো মনি চাকমা, ধনমনি সরদার পাড়ার গরিকা ত্রিপুরা, আদর্শ গ্রামের জমিউল হক, আলী আশরাফ, মুসলিম পাড়ার পেয়ারা বেগম, দেওয়ানপাড়ার আলমগীর হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর চেয়ারম্যান মেম্বারগণ স্বচ্ছতার সাথে বুঝিয়ে দেয়ায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে পাকা ঘরে বসবাস করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এ অবদানের কথা আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণে রাখবো। 

আমদের জন্য পাকা গৃহের ব্যাবস্থা করে দেয়ায় আমরা প্রধানমন্ত্রী,জেলা প্রশাসক, ইউএনও, পিআইও, সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞ। চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাদের, বকুল মেম্বার, কামাল মেম্বারসহ সকল ওয়ার্ড মেম্বারদের প্রতি কৃতজ্ঞতার সহিত ধন্যবাদ জানাই। তাদের জন্য আমরা সবসময়ই দোওয়া করি তারা যেন এভাবে অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের পাশে সাহায্য-সহয়োগীতা করে যেতে পারেন। 

মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) রাজ কুমার শীল বলেন,গত শনিবার (৩১জুলাই) উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ আমরা ২নং তবলছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছি। এ ইউনিয়নে অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের জন্য২৩টি গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেক এলাকা অত্যন্ত দূর্গম হওয়ায় কিছু ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলার সকল ইউনিয়নের ন্যয় এ ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে স্বচ্ছতা আনতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। 

২নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের বলেন, এ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২৩টি ঘরের মধ্যে প্রায় ৮০ভাগ ঘরের কাজ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২০ভাগ ঘরের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, চলমান এ ২০ভাগ ঘরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে সুবিধা ভোগীদের বুঝিয়ে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। একটি কুচক্রী মহল নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার ভাব-মূর্তি ক্ষুন্ন করার হীণস্বার্থে লিপ্ত হয়ে এ চলমান ঘরগুলোকে অসম্পন্ন ও অনিয়ম-দূর্ণীতি হয়েছে বলে অপপ্রচার চালানোর ব্যার্থ প্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে। অপপ্রচারকারী মহলটির এহেন ন্যাক্কার জনক তৎপরতা উদ্দেশ্য প্রণোদিত যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার একটি প্রয়াসমাত্র।