মাটিরাঙ্গার বড়নালে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে ৩৪পরিবার উচ্ছ্বসিত,১টি চক্রের গাত্র-জ্বালা

আব্দুল্লাহ আল মা মুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধিঃ
আব্দুল্লাহ আল মা মুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধিঃ আব্দুল্লাহ আল মা মুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ন, ০৩ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ৫:৪২ অপরাহ্ন, ০৩ অগাস্ট ২০২১

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৩নং বড়নাল ইউনিয়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত ৩৪পরিবার, একটি চক্র গাত্র জ্বালায় বিরোধিতায় তৎপর। 

অন্যের ঘরে আশ্রিত মানুষগুলো এখন নিজের ঘরে বাস করার সুযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। 

সোমবার (০২ আগস্ট) সকালে সরেজমিন ঘুরে ঘরগুলোতে কোথাও ঘরে ফাটল কিংবা মেঝের সিমেন্ট উঠে যাওয়ার মতো ঘটনা পরিলক্ষিত হয়নি। উপজেলার ৩নং বড়নাল ইউনিয়নের স্বপ্নের ঠিকানা প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর পাওয়া অসহায় হত-দরিদ্র,গৃহহীন ও ভূমিহীন পাহাড়ি-বাঙালী পরিবারের সদস্যদের মুখে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের হাসি দেখা গেছে। 

এ ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মিত ঘরে এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়ম বা সমস্যা দেখা যায়নি। 

এ ইউনিয়নের উপকারভোগী থৈলা পাড়ার মংসাই মারমা, আপাই মারমা, টাকুয়া মুসলিম পাড়ার কামাল হোসেন, কদমতলীর আলো রানী চাকমা, হেডম্যান পাড়ারঅর্পণ ত্রিপুরা, রোকেয়া জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর চেয়ারম্যান মেম্বারগণ স্বচ্ছতার সাথে বুঝিয়ে দেয়ায় আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

আমদের জন্য ঘরের ব্যাবস্থা করে দেয়ায় আমরা প্রধানমন্ত্রী ও  সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। 

মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) রাজ কুমার শীল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছি। ৩নং বড়নাল ইউনিয়নে অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের জন্য ৩৪টি গৃহ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নের ঘরগুলোতে কোন অসংগতি চোখে পড়ে নি।

৩নং বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর বলেন, এ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৩৪টি ঘরের মধ্যে ২২টি ঘর সুবিধা ভোগীদেরকে বুখিয়ে দেয়া হয়েছে। ১২টি ঘর আগামী কিছু দিনের মধ্যে সুবিধা ভোগীদেরকে বুঝিয়ে দিতে স্বচ্ছতার সাথে দ্রুত কাজ চলছে।

তিনি বলেন, চলমান এ ঘরের কাজে বিঘ্ন ঘটাতে একটি চক্র সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে। 

এ কুচক্রী মহল নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার ভাব-মূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টায় রয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আমার ইউনিয়নে ঘর নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি। অনিয়ম করলে জনগণ আমাকে ৬বার টানা ৩০বৎর  চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতেননা। আমি দূর্ণীতি করে প্রধানমন্ত্রী ও আমার দেশের বদনাম করতে পারবোনা।

কিছু চক্র আমাকে চেয়ার থেকে সরানোর জন্য প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে আসছে, কিন্তু তারা প্রতি বারেই ব্যার্থ হয়েছে। এবারো আশা করি জনগণ সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আবার আমাকে চেয়ারে বসাবেন।