পূণরায় নির্বাচিত হয়ে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার কথা বললেন ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:০৮ অপরাহ্ন, ১৮ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, ১৯ মে ২০২৪

তৃতীয় ধাপের ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মহদীপুর ইউপিসহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ২৮ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন উদীয়মান নেতৃত্ব তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল। তিনি গতবার উপজেলার এ ইউনিয়নে নৌকার বিজয়ী একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে দলীয় নৌকা মার্কা নিয়ে পূণরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নের অসমাপ্ত উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত করতে চান। তিনি উপজেলার মহদীপুর ইউপির বিশ্রামগাছী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম মন্ডল পরিবারের সন্তান। অত্র ইউপি নির্বাচনে এবারও নৌকা মার্কার প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী একজন। 

তিনি ছাত্র জীবনে পলাশবাড়ী কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে তাঁর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে। এরপর উপজেলা ছাত্রলীগের পরপর সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি পদে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা একজন জনপ্রিয় ত্যাগী এবং নির্যাতিত নেতা হিসেবে গোটা উপজেলায় জনতার জনপ্রিয় অন্যতম একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি পলাশবাড়ী পৌরশহরের একটি কারিগরি কলেজে শিক্ষাকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও ব্যবসায়িক অঙ্গণে ইট প্রস্তুতকারী (ভাটা) টিপিএল প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী। এ সুবাদে এলাকায় ছোট-বড় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজসহ অভিরাম নানামুখী সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। ৪৫ বছর বয়সী  তৌহিদুল ইসলাম পারিবারিক দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে এক ছেলে সন্তানের জনক। 

মো. তৌহিদুল ইসলাম মন্ডলের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারের আলাপ চারিতায় তিনি বলেন, আমি আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কা দিবেন। বিগত নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গত প্রায় ৫ বছরে ইউনিয়ন এলাকার ৮ কি.মি. ব্রিক হেয়ারিং ছাড়াও চলাচলের উপযোগী এবং অনপযোগী রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, বোর্ডেরঘর নামক স্থানে বঙ্গবন্ধু’র ম্যুরাল স্থাপন, পৃথক দু’টি শহীদ মিনার, বেশকয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয়ে ওয়াশরুম নির্মাণ, মুসলমানদের জন্য কবরস্থান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় শ্মশানঘাট নির্মাণ, এলাকাবাসীর চিকিৎসা সুবিধার্থে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান, বাল্যবিবাহ নিরোধ, চিহিৃত বিভিন্ন

অপরাধীদের দমন করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। বিধবা-বয়স্ক-প্রতিবন্ধী ও প্রসূতিসহ সরকার প্রদত্ত সকল ভাতাসমূহ অগ্রাধিকার সুষ্ঠু বন্ঠন, গরীব-দুঃখী অসহায়সহ কন্যা দায়গ্রস্ত পরিবারদের আর্থিক সহায়তা ছাড়াও নানামুখী কল্যাণমূলক কাজ তিনি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। আসন্ন নির্বাচনে আবারও বিজয় লাভ করে তিনি অত্র ইউনিয়নের অসমাপ্ত উন্নয়নমূলক কাজগুলো সমাপ্ত করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

তিনি আরও বলেন, ৯০'এ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ৯৬' এ গণআন্দোলনে যৌথবাহিনী নেতৃত্বে এবং ২০০১ সালের ১৯ অক্টোবর অপারেশন কিনহার্টে শারীরিক নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ২০০৪ সালেও তিনি অনুরূপ নির্যাতিত হন। এসময় আমার বসতবাড়ী-ঘর ভাঙচুর করে অপুরনীয় ক্ষতিসাধন করা হয়েছিল। সে সময় একের পর এক আমার নামীয় হয়রানীমূলক একাধিক মামলা দায়ের হয়। অপরদিকে, বিগত ২০০৮ সালে সরকার বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করার মধ্য দিয়ে এলাকার জনগণের আন্তরিক ভালোবাস সর্বোপরি মহান স্রষ্টার কৃপায় আজ আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমার ইউনিয়নে সরেজমিন দৃশ্যমান বহুমূখী উন্নয়নমূলক কাজের চিত্র দেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আর নিরলস দেশপ্রেমের টানে সর্বসাকুল্যে এ ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনে দৃঢ় আশাবাদ লালন করছি জনতার জননেতা মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও আমাকে অবশ্যই নৌকা মার্কা দিবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।