মজিবর রহমান স্মৃতি পাঠাগার জ্ঞান বিতরণের লাইট হাউস-- এমপি শহীদুজ্জামান সরকার

মো. আবু মুছা স্বপন, নওগাঁ প্রতিনিধি
মো. আবু মুছা স্বপন, নওগাঁ প্রতিনিধি মো. আবু মুছা স্বপন, নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ন, ২০ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ৫:৫০ পূর্বাহ্ন, ১৯ মে ২০২৪


নওগাঁর ধামইরহাটে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠা মজিবর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার পরির্দশন করেছেন জাতীয় সংসদের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নওগাঁ-২ আসনের এমপি মো. শহীদুজ্জামান সরকার। গতকাল দুপুরে পাঠাগারের অবয়ব কারুকার্য, সৌন্দর্য ও জ্ঞান-শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ক বই দেখে অভিভূত হন তিনি। যেসব বই পড়তে প্রতিদিনই প্রায় জ্ঞান পিপাসু শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে ওই পাঠাগারে। পাঠাগারটিতে আছে অত্যাধুনিক মনোমুগ্ধকর ডেকোরেশন, বসে থেকে দীর্ঘক্ষণ পড়ার জন্য আলাদা আলাদা পাঠ্য বই, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ঐতিহ্য, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর সেই শৈশবের বাল্যজীবন, কৈশরকাল, শিক্ষাজীবন ও পুরো জীবন বিখ্যাত ব্যক্তিদের কাহিনী নির্ভর দুর্লভ বই-কাব্যগ্রন্থ, শিশুদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন গল্প, রুপকথা, রংবেরংয়ের ছবি, রয়েছে বিনোদনের জন্য প্রজেক্টরের ব্যবস্থা। আরও আছে পাঠাগারে আগতদের সেবা প্রদানে নিয়োজিত সেবাদানকর্মী। এতসব কিছু ও পাঠকের আগমন দেখে মুগ্ধ হন এম.পি শহীদুজ্জামান সরকার। এ সময় তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় গড়ে উঠা মজিবর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার নির্মান নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, যে স্থানে অগ্রপূরী বিহার বাতিঘর হিসাবে দেদিপ্যমান ছিল সেই স্থানের খুবই যোগ্য প্রতিস্থাপন এই গ্রন্থগার, এই গ্রন্থাগার জ্ঞান বিতরণে লাইট হাউস হবে বলে আমি দৃঢ় বিশ^াস করি, আমি এই আকাশ ছোঁয়ার লক্ষকে সাধুবাদ জানাই, জ্ঞানের বাতিঘর এই গ্রন্থাগারের পাঠক তথা সবার জীবনে গোলাপ ফোটাক এই কামনা করছি হৃদয় থেকে।’ কথাগুলো তিনি পরিদর্শণ বহিতেও লিপিবদ্ধ করেন।
পরিদর্শণকালে উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী, পৌর মেয়র আমিনুর রহমান, আগ্রাদ্বিগুন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোজাফফর রহমান. সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ, খেলনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আকতার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মজিবর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক, গ্রীণ ভয়েস বাংলাদেশ এর  প্রধান সমন্বয়ক,  মানবিক মানুষ গড়ার কারিগর আলমগীর কবির বলেন, ‘বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পড়া লেখার বাইরেও  জ্ঞান ও শিক্ষামুলক এবং বাস্তব ভিত্তিক বই পড়ে কোমলমতি শিশু ও জ্ঞান পিপাসু শিক্ষার্থীরা যাতে করে তাদের জ্ঞান ও জানার পরিধি বৃদ্ধি করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই পাঠাগার, তাছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকার তরুন যুবক-উঠতি বয়সী ও শিক্ষার্থীদের মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।