রংপুরে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবীতে ঐতিহ্যবাহী সিটি বাজার এদিনের জন্য বন্ধ

আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:২১ অপরাহ্ন, ১৮ জানুয়ারী ২০২২ | আপডেট: ৮:০২ পূর্বাহ্ন, ১৯ মে ২০২৪

রংপুরে ব্যবসায়ীদের কয়েক দফা দাবীতে ঐতিহ্যবাহী সিটি বাজার এদিনের জন্য বন্ধ রয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (১৮.০১.২০২২) অবহেলিত সিটি বাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বস্থ সিটি বাজার ব্যবসায়ীবৃন্দের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী সিটি বাজারের ৩৫ বৎসর থেকে উন্নয়ন না হওয়ায় এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে একাধিকবার নির্বাচিত রংপুর সিটি মেয়র দের নিকট দ্বারস্থ হয়েও, সারা না পাওয়ার প্রতিবাদে সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সিটি বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

দোকানদারগণ জানান- এক দিনে সিটি বাজার বন্ধে প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান হবে তাদের। ব্যবসায়ীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুগোপযোগী আধুনিক মানের মহিলা ও পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা টয়লেট ব্যবস্থা , মোটরসাইকেল ও গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য গেটের ব্যবস্থা, সিটি বাজারের ক্রেতা চলাচলের সকল রাস্তা প্রশস্ত ও সংস্কার সহ পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে সিটি বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তফা কামাল বলেন, বিগত ৩৫ বছরে অবহেলিত রংপুর সিটি বাজারে যুগোপযোগী আধুনিক কোন উন্নয়ন হয়নি।

এ বিষয়ে কয়েক দফা নির্বাচিত মেয়র এর কাছে শরণাপন্ন হয়েও আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় গত ৩১/০৩/২০২১ইং সিটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ০২/০৪/২০২১ইং মেয়র সিটি বাজার ব্যবসায়ী কমিটির অফিস এসে পূর্বের ন্যায় অনেক আশার বাণী শুনিয়ে যান। কিন্তু মেয়র ৯ মাস পার হয়ে গেলেও উন্নয়নের কোন প্রকার উদ্যোগ নেননি। তিনি আরো বলেন, তাই আমরা সিটি বাজার ব্যবসা কমিটির উন্নয়ন সভায় সকল ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে আজকে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সকল দোকান বন্ধ্যর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

উক্ত সময় সিটি বাজারের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন ছোট বাবু বলেন, রংপুর সিটি বাজার উত্তরবঙ্গের একটি বৃহৎ বাজার, যেখানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে। জলাবদ্ধতা, রাস্তা ভাঙা, ড্রেনেজ সমস্যা, পাবলিক টয়লেট, গাড়ি পার্কিংসহ বাজারটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ বিষয়ে শতাধিকবার রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে জানালেও কোন উন্নয়ন হয়নি কিংবা কোন উদ্যোগ নেয়নি। অথচ প্রতিবছর এই সিটি বাজার থেকে সিটি কর্পোরেশন প্রায় কয়েক কোটি টাকা আয় করে।

এই আয় থেকে বাজার উন্নয়নের জন্য (৪০%) ব্যয় করতো। তাহলে মেনে নেওয়া যেত। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সহ- সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম বাবলু, নবাবগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী সকল ব্যবসায়ীবৃন্দ।