স্বজন হারানোর বেদনা সবচেয়ে বেশী কষ্টকর: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক-
নিজস্ব প্রতিবেদক- নিজস্ব প্রতিবেদক-
প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ন, ০৪ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ৬:২০ পূর্বাহ্ন, ১৯ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা স্মরণ করে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেছেন, স্বজন হারানোর বেদনা কষ্টকর।  তিনি বলে  যে কী কঠিন সেটি আমার চেয়ে বোধহয় বেশি আর কেউ উপলব্ধি করতে পারে না। এখানে (পিলখানা) এলেই মনটা ভারি হয়ে যায়। ২০০৯ সাল, কেবল আমরা সরকার গঠন করেছি। 

২৪ ফেব্রুয়ারি আমি এখানে প্যারেডে এসে অফিসারদের সঙ্গে বসে কথা বলি। অত্যন্ত মেধাবী সব অফিসার ছিল তখন। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় ২৫ ও ২৬ তারিখ ঘটে এক অঘটন, সেই বিদ্রোহের ফলে এই বাহিনীর ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ সাধারণ মিলে ৭৪ জন প্রাণ হারান। এই বাহিনীর মহাপরিচালকসহ যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

সোমবার সকালে বিজিবি দিবস উপলক্ষ্যে বাহিনীটির সদর দপ্তর পিলখানায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিদ্রোহে স্বজনহারাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা যে কী কঠিন সেটি আমার চেয়ে বোধহয় বেশি আর কেউ উপলব্ধি করতে পারে না। তবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।

বিজিবি সদস্যদের চেইন অব কমান্ড মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড, এটি শৃঙ্খলা বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। কখনো শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটাবেন না। সবাই চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন। 

বিজিবি দেশের সীমান্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি সীমান্তের সব অপরাধ দমনে কাজ করে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিজিবির ওপর। এর পাশাপাশি চোরাচালান, মাদক চালান, শিশুপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ বিজিবি অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে প্রতিরোধ করে থাকে। দেশমাতৃকা রক্ষায় দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করে এ বাহিনী। বিজিবি হবে স্মার্ট বাহিনী। এই বাহিনীকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার।


অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যাতে আমরা এ অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে পারি এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পারি। আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাইনি। সে জন্য আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।


এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য ৭২ জনকে পদক প্রদান করেন।