স্ত্রীর সাথে মিলনের জন্য তাঁর অনুমতি নেয়া প্রয়োজন কি?
১) মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামী যখন তাঁর স্ত্রীকে দৈহিক প্রয়োজনে আহবান করবে, সে যেনো স্বামীর কাছে অত্যন্ত দ্রুত চলে আসে । এমনকি সে রান্না ঘরে রুটি পাকানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও ।(সুনানে তিরমিযি ১১৬০,ছহীহুল জামে ৫৩৪)
২) মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাঁড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় সারারাত একাকী কাটায়, সে স্ত্রীর উপর ফিরিশ্তারা সকাল পর্যন্ত লা’নত দিতে থাকে । (ছহীহুল বোখারি ৫১৯৩,ছহীহ মুসলিম ১৪৩৬,সুনানে আবু দাউদ ২১৪১,নাসাঈ)
৩) মহানবী সা: বলেছেন “ তিন ব্যক্তির নামাজ তাঁদের মাথা অতিক্রম করেনা অর্থাৎ কবুল হয়না । তন্মধ্যে একজন হলেন অবাধ্য স্ত্রী , যে স্বামীর ডাকে সাঁড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় ঘুমায় ।(তাবরানী ১০৮৬,সুনানে তিরমিযি ৩৬০,হাকেম সিলসিলা ছহীহা ২৮৮)
৪) মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখা যাবেনা এবং স্বামীর অপছন্দ ব্যক্তিকে ঘরে প্রবেশ করানো যাবেনা ।( ছহীহুল বোখারি ৫১৯৫,ছহীহ মুসলিম ২৪১৭,দারেমী ১৭২০,সিলসিলা আহাদিসুস ছহীহা ৩৯৫)
৫)মহানবী সা: বলেছেন “ পরকালে আল্লাহপাক স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ স্ত্রীর দিকে তাকাবেন না । (নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫,বাযযার ২৩৪৯,তাবরানী হাকেম ২৭৭১,বাইহাক্বী ১৪৪৯৭,সিলসিলাহ ছহীহা ২৮৯)
৬) মহানবী সা: বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো । (ছহীহুল জামে ৫২৫৯,তাবরানী)
৭) মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম । (মুসনাদে আহমদ ১৯০০৩,নাসাঈ,হাকিম,বায়হাক্বী )
৮) মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুরেরা বলেন “ তোমার স্বামীকে কষ্ট দিওনা । তিনি তোমার কাছে সাময়িক মেহমান মাত্র । তোমাকে ছেড়ে অচিরেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে । (তিরমিযি ১১৭৪,ইব্নে মাজাহ ২০১৪)
৯) মা- বাবা সহ সকলের মৃত্যুতে শোক পালন হচ্ছে মাত্র ৩ দিন পর্যন্ত । পক্ষান্তরে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে হবে ৪ মাস ১০ দিন ।
(সূরা আল বাক্বারা ২৩৪,ছহীহুল বোখারি ১২৮০,ছহীহ মুসলিম ৩৮০২)
(সংগৃহীত)