অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেল জেলেনস্কি

রব ডেস্ক-
রব ডেস্ক- রব ডেস্ক-
প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ন, ০৭ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১১:০০ পূর্বাহ্ন, ০৬ মে ২০২৪

 ইউক্রেনের বন্দর নগরী ওডেশাকে লক্ষ্য করে বুধবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মস্কো। ক্ষেপণাস্ত্রটি জেলেনস্কির কাছ থেকে মাত্র ১ হাজার ৫০০ ফুট দূরে পড়ে। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী ক্রায়াকোস মিসোতাকিস। হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, দুই নেতার গাড়ি বহর হামলার তীব্রতা টের পেয়েছ এবং তারা ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখেছেন।

কেননা ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর ক্ষুব্ধ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কারণ, জেলেনস্কির ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের জেরেই দেশটিতে সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মস্কো। এরই মধ্যে তৃতীয় বছরে পা দিয়েছে সেই সংঘাত। অভিযোগ রয়েছে- যুদ্ধ থামাতে পশ্চিমাদের সঙ্গে আঁতাত করে বেশ কয়েকবারই পুতিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে কিয়েভ। কিন্তু প্রতিবারই তা রুখে দিয়েছে রুশ গোয়েন্দারা।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়- তারাও জেলেনস্কিকে হত্যার রুশ পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছে। এমন বিতর্কের মধ্যেই এবার জেলেনস্কির গাড়ি বহরের খুব কাছে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল রাশিয়া। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইউক্রেনের নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অনেকে আহত হয়েছেন। হামলায় জেলেনস্কি ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কেউই আহত হননি। তবে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এতটাই কাছে ছিলেন, এটির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

হামলার বিষয়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এ ধরনের হামলা প্রতিরোধে ভালো আকাশ প্রতিরক্ষা দরকার। এ জন্য অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য পশ্চিমা মিত্রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন, এ ধরনের ব্যবস্থা ছাড়া বেসামরিক

এদিকে, দেশটির নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র সিএনএনকে জানান, ভয়াবহ ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগে তিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে শহরটি ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন।

এর এক দিন আগে, কৃষ্ণসাগরে অবস্থানরত রুশ নৌবহরে হামলা চালায়েছিল ইউক্রেন। এতে সাতজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নৌ ড্রোন ব্যবহার করে সের্গেই কোতোভ নামের জাহাজটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এই জাহাজটির মূল্য হলো ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০০ কোটি টাকারও বেশি।