নওগাঁয় বিনোদন প্রেমিদের জন্য জননেতা আব্দুল জলিল শিশু পার্ক উন্মুক্ত

মো. আবু মুছা স্বপন, নওগাঁ প্রতিনিধি
মো. আবু মুছা স্বপন, নওগাঁ প্রতিনিধি মো. আবু মুছা স্বপন, নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ন, ২৬ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, ০৬ মে ২০২৪

নওগাঁয় জননেতা আব্দুল জলিল শিশু পার্ক করোনা মহামারির কারণে বন্ধ থাকার পর বিনোদন ও প্রকৃতি প্রেমি নারী ও পুরুষ ও শিশু কিশোরদের জন্য গত ৪/৫ দিন আগে থেকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। নওগাঁ জেলা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। শহরের কেন্দ্র বিন্দুতে পুরাতন একটি ছোট শিশু পার্ক থাকলেও পার্কের মাঝখানে একটি পুকুর আর পথ চলাচলের জন্য রাস্তা ছাড়া শিশুদের বিনোদনের জন্য তেমন কিছু না থাকলেও ভেতরের মেরামত কাজ চলমান থাকার কারণে বন্ধ আছে। শিশু কিশোর আর মানুষের বিনোদনের কথা ভেবে জননেতা আব্দুল জলিল শহরের বাইপাস সড়কের পাশে শিশু পার্কের জন্য জেলা পরিষদের তত্বাবধানে স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন জমি অধিগ্রহন করে ২০১১ সালে এবং পরে ২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে ৫কোটি টাকা ব্যয়ে জননেতা আব্দুল জলিল শিশু পার্ক নামকরন করে উদ্ধোধন করা হয়। জননেতা আব্দুল জলিল শিশু পার্কের পরিচালক আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বাবু জানান, গত দুই বছর ধরে করোনার কারণে বন্ধ থাকায় পার্কে বিনোদনের জন্য আসা বিনোদন প্রেমীদের বিনোদনের কোন ব্যবস্থা ছিলোনা। আব্দুল জলিল শিশু পার্কে শিশু কিশোর অবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের এখন থেকে উপঁচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাবে। জনগনের জন্য বিনোদনের উন্মুক্ত করে দেয়ায় আশে পাশের জেলা গুলো হতে ও স্থানীয় সব শ্রেনী পেশার মানুষ এখানে বিনোদন উপভোগ করতে পারবে। নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন এর মরহুম পিতা সাবেক সফল ব্যনিজ্য মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের নিজ হাতে গড়া এই পার্কে যুগোপযোগী আধুনিক ও উন্নতমানের শিশু পার্ক করাসহ মাঝে মধ্যে বসার ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষ সহ বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন এর নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন নওগাঁবসী-সহ আগত বিনোদন উপভোগকারীরা। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ ফজলে রাব্বি বকু জানান, পার্কটি উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা আমাদের আছে। ইতোমধ্যে পার্কের আয়তন বৃদ্ধির লক্ষে জমি অধিগ্রহনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া পার্কে অত্যাধনিক রাইডার স্থাপন করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে পার্কটি আর্ন্তজাতিক মানের গড়ে তোলার চেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে।