খালেদার উপদেষ্টা খায়ের ভূঁইয়া কারাগারে, প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আরো বিএনপি-জামায়াতের ৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার

ষ্টাফ রিপোর্টার,লক্ষ্মীপুর-
ষ্টাফ রিপোর্টার,লক্ষ্মীপুর- ষ্টাফ রিপোর্টার,লক্ষ্মীপুর-
প্রকাশিত: ১১:০৮ অপরাহ্ন, ১০ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১১:০৮ অপরাহ্ন, ১০ মার্চ ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত দুই মামলায় কারাগারে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া।

রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম তার জামিন না মঞ্জুর করেন।

এদিকে তার জামিন বাতিল হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ করে। তাকে কারাগারে নিয়ে যাবার সময় মিছিল করে দলীয় নেতাকর্মীরা। অপরদিকে খায়ের ভুঁইয়ার গ্রেফতারের প্রতিবাদে রায়পুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ মিছিল থেকে  উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মিঠু, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে হেলাল মামুন, কেরোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমসহ বিএনপি ও জামায়াতের আট নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে।  

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের গোডাউন রোডের বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর বাসভবনের সামনে থেকে পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপর্ণূ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঝুমুর স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি রামগতি সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।

এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ অন্তত ৫০ নেতকর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দুই শতাধিক নেতাকর্মী। পদযাত্রা চলাকালীন সময় সামাদ এলাকায় কৃষক দল কর্মী সজীব হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পরদিন সদর থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে দুইটি মামলা দায়ের করে। এই চারটি মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাহাবুদ্দিন সাবু, অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমানসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

ওই মামলায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান জামিনে রয়েছেন।